চশমার জনক কে
চশমার একক কোনো জনক নেই, কারণ এটি কোনো একজন ব্যক্তির আবিষ্কার নয়। এটি একটি ধারাবাহিক উদ্ভাবনের ফসল। তবে, চশমা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যাদের নাম উঠে আসে তারা হলেন ইতালীয়রা।
ধারণা করা হয়, ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে ইতালির পিষা (Pisa) বা ভেনিসে প্রথম পরিধানযোগ্য চশমা তৈরি করা হয়। দুটি কাচের লেন্সকে একটি ফ্রেমের সাথে যুক্ত করে নাকের ওপর বসিয়ে পরার এই ধারণাটি আসে ইতালীয়দের কাছ থেকে।
এই প্রসঙ্গে যে দুজনের নাম প্রায়শই শোনা যায় তারা হলেন:
সালভিনো ডি'আরমেট (Salvino D'Armate): অনেকেই তাকে চশমার প্রাথমিক উদ্ভাবক হিসেবে মনে করেন, তবে তার অস্তিত্ব নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
আলেসান্দ্রো ডেলা স্পিনা (Alessandro della Spina): তাকেও চশমা তৈরির প্রথম দিককার অন্যতম কারিগর হিসেবে ধরা হয়।
সারসংক্ষেপে, চশমার আবিষ্কারকে কোনো একক ব্যক্তির কৃতিত্ব বলা যায় না, বরং এটি ১৩শ শতাব্দীর শেষভাগে ইতালীয় কারিগরদের সম্মিলিত উদ্ভাবন।
চশমার একক কোনো জনক নেই, কারণ এটি বহু মানুষের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফল। তবে, চশমার আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে নামটি প্রচলিত, তিনি হলেন ইতালির সালভিনো ডি'আর্মাত (Salvino D'Armate)।
ধারণা করা হয়, ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে (সম্ভবত ১২৮৫ থেকে ১২৯০ সালের মধ্যে) তিনি চশমার প্রাথমিক রূপ আবিষ্কার করেন। তবে, তার এই আবিষ্কারের স্বপক্ষে খুব নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই এবং অনেক বিশেষজ্ঞ এটিকে একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি বলে মনে করেন।
__
চশমা আবিষ্কারের ইতিহাস
চশমা আবিষ্কারের কৃতিত্ব প্রায়ই অন্য দু'জন ইতালীয় ব্যক্তির সঙ্গেও যুক্ত করা হয়:
১. আলেসান্দ্রো ডেলা স্পিনা (Alessandro della Spina): তিনি একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। কেউ কেউ বলেন যে তিনি সালভিনো ডি'আর্মাতের আবিষ্কারকে পুনরুৎপাদন করে এর প্রচার করেন।
২. রোজেক বেইকন (Rogek Beacon): ১২৬৬ সালের দিকে তিনি প্রমাণ করেন যে কোনো বস্তুকে লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখলে তা বড় দেখায়। যদিও তিনি চশমা আবিষ্কার করেননি, তার এই তত্ত্ব পরবর্তীকালে চশমা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চশমার প্রথম ব্যবহারিক রূপটি মূলত ইতালির পিসা এবং ভেনিস শহরে বিকশিত হয়। সেখানে কাচ তৈরির উন্নত প্রযুক্তি ছিল। প্রথম দিকের চশমাগুলো ছিল মূলত উত্তল লেন্সের, যা দূরদৃষ্টির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হতো।
আজ আমরা যে আধুনিক চশমা দেখি, তার বিবর্তন হয়েছে বহু শতাব্দী ধরে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রেমের নকশার উন্নতি, লেন্সের প্রকারভেদ (উত্তল ও অবতল), এবং কাঁচের নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন