চর্যাপদের জনক কে

 চর্যাপদের জনক কে


চর্যাপদের একক কোনো জনক নেই। এটি কোনো একজন ব্যক্তির রচনা নয়, বরং এটি বিভিন্ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের (Siddhācārya) রচিত গানের সংকলন। এই সিদ্ধাচার্যগণ মহাযান বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান ও সহজযান শাখার সাধক ছিলেন।

চর্যাপদের রচয়িতাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন:

  • লুইপাদ (Lūīpāda)

  • কান্হপাদ (Kāṇhapāda)

  • শবরপাদ (Śabarapāda)

  • ভুসুকুপাদ (Bhusukupāda)

এরা প্রত্যেকেই চর্যাপদের কিছু না কিছু পদ রচনা করেছেন।

চর্যাপদ আবিষ্কারের কৃতিত্ব যার:

যদিও চর্যাপদের কোনো একক জনক নেই, তবে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন গ্রন্থটি আধুনিক বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য একজন ব্যক্তির অবদান অনস্বীকার্য। তিনি হলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

  • হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (Haraprasad Shastri) ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুঁথিটি আবিষ্কার করেন।

  • এরপর ১৯১৬ সালে তিনি এটি 'হাজার বছরের পুরোনো বাঙালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা' নামে প্রকাশ করেন।

এই আবিষ্কার বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে, এবং এটি প্রমাণ করে যে বাংলা ভাষার উদ্ভব এক হাজার বছরেরও বেশি আগে হয়েছিল। তাই, হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে চর্যাপদের আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়, কিন্তু এর রচয়িতা তিনি নন।


চর্যাপদের কোনো একক 'জনক' নেই। চর্যাপদ হলো মূলত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের দ্বারা রচিত গানের সংকলন। এরা হলেন বৌদ্ধ ধর্মের এক শ্রেণির সাধক, যারা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে বাস করতেন। তাই এটি কোনো একজন ব্যক্তির রচনা নয়, বরং প্রায় ৫০ জন সিদ্ধাচার্যের লেখা গানের সমষ্টি।

তবে, এই চর্যাপদকে যিনি প্রথম আবিষ্কার করেন এবং গবেষণার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন, সেই হিসেবে তাঁকে চর্যাপদের গবেষণার 'জনক' বলা যায়। তিনি হলেন:

  • ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

তিনি ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পুঁথিটি আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে তিনি এটি 'হাজার বছরের পুরোনো বাংলা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোঁহা' নামে প্রকাশ করেন। তার এই আবিষ্কারের ফলেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন