ভূগোলের আবিষ্কারক কে

ভূগোলের আবিষ্কারক কে


ভূগোলের আবিষ্কারক বলতে কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝানো হয় না। বরং, সময়ের সাথে সাথে অনেক পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীরা এর বিকাশে অবদান রেখেছেন। তবে, প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত এরাতোস্থেনিস (Eratosthenes)-কে সাধারণত ভূগোলের জনক হিসেবে ধরা হয়।

কেন ইরাতোস্থেনিসকে ভূগোলের জনক বলা হয়?

  • 'Geography' শব্দের ব্যবহার: ইরাতোস্থেনিস (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৬-১৯৪) প্রথম "geographia" শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি দুটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে: "geo" (পৃথিবী) এবং "graphy" (বর্ণনা)। এর অর্থ হলো "পৃথিবীর বর্ণনা"।

  • পৃথিবীর পরিধি গণনা: তিনি প্রায় নিখুঁতভাবে পৃথিবীর পরিধি গণনা করেছিলেন, যা সেই সময়ে একটি অসাধারণ বৈজ্ঞানিক অর্জন ছিল।

  • মানচিত্রাঙ্কন: তিনি একটি গ্লোব ও বিশ্ব মানচিত্র তৈরি করার চেষ্টা করেন, যা দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশ রেখা ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের অবস্থান নির্দেশ করত।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী

ইরাতোস্থেনিস ছাড়াও আরও অনেক পণ্ডিত ভূগোলের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন:

  • হোমার (Homer): তার "ইলিয়াড" এবং "ওডিসি" মহাকাব্যে ভৌগোলিক বিবরণ পাওয়া যায়, যা প্রাচীন গ্রিকদের ভৌগোলিক জ্ঞানের পরিচয় দেয়।

  • আলেকজান্ডার ভন হুমবোল্ট (Alexander von Humboldt) ও কার্ল রিটার (Carl Ritter): ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই দুই জার্মান পণ্ডিতকে আধুনিক ভূগোলের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা ভূগোলকে একটি পদ্ধতিগত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে প্রাকৃতিক ও মানবীয় উপাদানগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন