নাৎসিবাদের জনক কে

 নাৎসিবাদের জনক কে


নাৎসিবাদের (Nazism) জনক হলেন আডলফ হিটলার (Adolf Hitler)।

তিনি ১৯২০ সালে জার্মানির ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি (Nationalsozialistische Deutsche Arbeiterpartei) বা সংক্ষেপে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। হিটলারের রাজনৈতিক আদর্শ এবং দর্শনই পরবর্তীতে 'নাৎসিবাদ' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।


নাৎসিবাদের মূল বৈশিষ্ট্য:

  • চরম জাতীয়তাবাদ: নাৎসিবাদের মূল ভিত্তি ছিল জার্মান জাতির শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস।

  • স্বৈরাচারী শাসন: এটি ছিল একদলীয় শাসনব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা একনায়কতান্ত্রিক নেতার হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল।

  • জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব: হিটলার আর্য জাতিদের (বিশেষত জার্মানদের) সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও শ্রেষ্ঠ জাতি মনে করতেন। এর ফলস্বরূপ ইহুদি, রোমা (যাযাবর), এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উপর চরম নির্যাতন শুরু হয়, যা হলোকাস্টের মতো নৃশংস ঘটনার জন্ম দেয়।

  • সামাজিক ডারউইনবাদ: এই মতবাদ অনুযায়ী, জাতিদের মধ্যে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, এবং শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ জাতিই টিকে থাকবে।

  • সাম্রাজ্যবাদ: হিটলার জার্মানির 'লেবেনসরাউম' (Lebensraum) বা জীবনধারণের স্থান বাড়ানোর জন্য আগ্রাসী সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল।

নাৎসিবাদ শুধু একটি রাজনৈতিক দর্শন ছিল না, বরং এটি একটি চরম এবং ধ্বংসাত্মক আন্দোলন ছিল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হলোকাস্টের মতো মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু ঘটনার জন্য দায়ী।


নাৎসিবাদের (Nazism) জনক হলেন অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler)।

তিনি জার্মানির নাৎসি পার্টির (Nationalsozialistische Deutsche Arbeiterpartei বা NSDAP) নেতা ছিলেন এবং ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফুয়েরার (Führer) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ, যা জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, ইহুদি-বিদ্বেষ (Antisemitism), ফ্যাসিবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল, সেটিই নাৎসি মতবাদ নামে পরিচিত।

হিটলার তার আত্মজীবনী 'মাইন কাম্ফ' (Mein Kampf) গ্রন্থে এই আদর্শের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তার নেতৃত্বেই নাৎসি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে এবং হলোকাস্টের (Holocaust) মতো ভয়াবহ গণহত্যা চালায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন