কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক কে
কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক হলেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক।
১৯০০ সালে তিনি একটি বিপ্লবী ধারণা দেন যে, শক্তি অবিচ্ছিন্নভাবে নির্গত হয় না, বরং এটি নির্দিষ্ট এবং বিচ্ছিন্ন প্যাকেটে নির্গত হয়, যেগুলোকে তিনি 'কোয়ান্টা' নাম দেন। এটিই ছিল কোয়ান্টাম তত্ত্বের ভিত্তি। তার এই আবিষ্কার পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং বিংশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা করে।
কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল ধারণা
প্ল্যাঙ্কের এই তত্ত্বের প্রধান দিকগুলো হলো:
শক্তির কোয়ান্টাইজেশন: কোনো বস্তু থেকে শক্তি নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্গত হয় না। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে (কোয়ান্টা বা ফোটন) নির্গত বা শোষিত হয়।
প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক (): তিনি একটি ধ্রুবকের ধারণা দেন যা প্রতিটি কোয়ান্টার শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে। এর সমীকরণ হলো , যেখানে E হলো শক্তি, h হলো প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক এবং f হলো কম্পাঙ্ক।
প্ল্যাঙ্কের এই যুগান্তকারী কাজের জন্য তিনি ১৯১৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে আইনস্টাইন, নিলস বোর, হাইজেনবার্গ, ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বকে আরও উন্নত ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক হলেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক।
১৯০০ সালে তিনি কৃষ্ণবস্তু বিকিরণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এই বিপ্লবী ধারণাটি দেন যে, শক্তি অবিচ্ছিন্নভাবে নির্গত হয় না, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেট বা কোয়ান্টা (quanta) আকারে নির্গত হয়। এই ধারণাই পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন করে এবং আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভিত্তি স্থাপন করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ১৯১৮ সালে তাঁকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন