ঙ্কঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস এক দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় বিবর্তনের গল্প, যা হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের সময় পরিমাপের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছে। এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং বহু বিজ্ঞানীর ধারাবাহিক উদ্ভাবনের ফসল।
ঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস এক দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় বিবর্তনের গল্প, যা হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের সময় পরিমাপের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছে। এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং বহু বিজ্ঞানীর ধারাবাহিক উদ্ভাবনের ফসল।
প্রাচীন যুগ: সূর্যালোক ও জল
প্রাচীন সভ্যতাগুলোতে সময় পরিমাপের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো।
সূর্যঘড়ি (Sundial): এটিই ছিল সবচেয়ে পুরনো সময় পরিমাপক যন্ত্র। একটি দণ্ডের ছায়া সূর্যের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হত এবং ঘড়ির প্লেটে চিহ্নিত দাগের ওপর পড়ে সময় নির্দেশ করত। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে মিসরীয় সভ্যতায় এর প্রথম ব্যবহার দেখা যায়। তবে এর প্রধান সীমাবদ্ধতা ছিল যে এটি রাতে বা মেঘলা দিনে কাজ করত না।
জলঘড়ি (Clepsydra): এটি রাতে বা মেঘলা দিনে ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর বিকল্প ছিল। পাত্রে নির্দিষ্ট ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ার মাধ্যমে সময় গণনা করা হতো। খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ায় এর ব্যবহার শুরু হয়।
প্রাচীন সভ্যতাগুলোতে সময় পরিমাপের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো।
সূর্যঘড়ি (Sundial): এটিই ছিল সবচেয়ে পুরনো সময় পরিমাপক যন্ত্র। একটি দণ্ডের ছায়া সূর্যের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হত এবং ঘড়ির প্লেটে চিহ্নিত দাগের ওপর পড়ে সময় নির্দেশ করত। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে মিসরীয় সভ্যতায় এর প্রথম ব্যবহার দেখা যায়। তবে এর প্রধান সীমাবদ্ধতা ছিল যে এটি রাতে বা মেঘলা দিনে কাজ করত না।
জলঘড়ি (Clepsydra): এটি রাতে বা মেঘলা দিনে ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর বিকল্প ছিল। পাত্রে নির্দিষ্ট ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ার মাধ্যমে সময় গণনা করা হতো। খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ায় এর ব্যবহার শুরু হয়।
মধ্যযুগ: যান্ত্রিক ঘড়ির সূচনা
১৩শ শতকে ইউরোপে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ির ধারণা আসে। এই ঘড়িগুলো ছিল মূলত টাওয়ার বা গির্জার জন্য তৈরি বিশাল আকৃতির যন্ত্র, যা ঘণ্টাধ্বনি দিয়ে সময় জানান দিত। এর প্রাথমিক উদ্ভাবকরা অজানা, তবে এতে পিনিয়ন এবং গিয়ার ব্যবহার করা হতো।
১৩শ শতকে ইউরোপে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ির ধারণা আসে। এই ঘড়িগুলো ছিল মূলত টাওয়ার বা গির্জার জন্য তৈরি বিশাল আকৃতির যন্ত্র, যা ঘণ্টাধ্বনি দিয়ে সময় জানান দিত। এর প্রাথমিক উদ্ভাবকরা অজানা, তবে এতে পিনিয়ন এবং গিয়ার ব্যবহার করা হতো।
আধুনিক যুগ: পেন্ডুলাম ঘড়ি এবং নির্ভুলতা
ঘড়ির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপ্লব আসে ১৬শ ও ১৭শ শতকে।
পকেট ঘড়ি: ১৫শ শতকে জার্মানির পিটার হেনলেইন (Peter Henlein) পকেট ঘড়ি আবিষ্কার করেন। এতে স্প্রিং ব্যবহার করা হত, যা একে বহনযোগ্য করে তোলে।
পেন্ডুলাম ঘড়ি: ১৬৫৭ সালে ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্স (Christiaan Huygens) পেন্ডুলামের দোলনকে কাজে লাগিয়ে প্রথম নির্ভুল যান্ত্রিক ঘড়ি তৈরি করেন। তার এই আবিষ্কার সময় পরিমাপে অভূতপূর্ব নির্ভুলতা এনেছিল।
ঘড়ির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপ্লব আসে ১৬শ ও ১৭শ শতকে।
পকেট ঘড়ি: ১৫শ শতকে জার্মানির পিটার হেনলেইন (Peter Henlein) পকেট ঘড়ি আবিষ্কার করেন। এতে স্প্রিং ব্যবহার করা হত, যা একে বহনযোগ্য করে তোলে।
পেন্ডুলাম ঘড়ি: ১৬৫৭ সালে ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্স (Christiaan Huygens) পেন্ডুলামের দোলনকে কাজে লাগিয়ে প্রথম নির্ভুল যান্ত্রিক ঘড়ি তৈরি করেন। তার এই আবিষ্কার সময় পরিমাপে অভূতপূর্ব নির্ভুলতা এনেছিল।
২১শ শতক: ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল ঘড়ি
২০শ শতকে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির জগতেও বিপ্লব আসে।
কোয়ার্টজ ঘড়ি: ১৯২৭ সালে কানাডীয় প্রকৌশলী ওয়ারেন ম্যারিসন (Warren Marrison) কোয়ার্টজ ক্রিস্টালের স্পন্দন ব্যবহার করে প্রথম ইলেকট্রনিক ঘড়ি তৈরি করেন। এই ঘড়িগুলো যান্ত্রিক ঘড়ির চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল এবং সাশ্রয়ী ছিল।
পারমাণবিক ঘড়ি: ১৯৪৯ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যান্ডার্ডস (NBS) প্রথম পারমাণবিক ঘড়ি তৈরি করে। এই ঘড়িগুলো এতটাই নিখুঁত যে লক্ষ বছরে মাত্র এক সেকেন্ডের পার্থক্য হতে পারে। বর্তমানে জিপিএস এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিতে এ ধরনের ঘড়ি ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে স্মার্টওয়াচ, ডিজিটাল ঘড়ি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক ডিভাইস সময় পরিমাপকে আরও সহজ এবং বহুমুখী করে তুলেছে, যা এই দীর্ঘ বিবর্তনেরই ফল।
২০শ শতকে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির জগতেও বিপ্লব আসে।
কোয়ার্টজ ঘড়ি: ১৯২৭ সালে কানাডীয় প্রকৌশলী ওয়ারেন ম্যারিসন (Warren Marrison) কোয়ার্টজ ক্রিস্টালের স্পন্দন ব্যবহার করে প্রথম ইলেকট্রনিক ঘড়ি তৈরি করেন। এই ঘড়িগুলো যান্ত্রিক ঘড়ির চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল এবং সাশ্রয়ী ছিল।
পারমাণবিক ঘড়ি: ১৯৪৯ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যান্ডার্ডস (NBS) প্রথম পারমাণবিক ঘড়ি তৈরি করে। এই ঘড়িগুলো এতটাই নিখুঁত যে লক্ষ বছরে মাত্র এক সেকেন্ডের পার্থক্য হতে পারে। বর্তমানে জিপিএস এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিতে এ ধরনের ঘড়ি ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে স্মার্টওয়াচ, ডিজিটাল ঘড়ি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক ডিভাইস সময় পরিমাপকে আরও সহজ এবং বহুমুখী করে তুলেছে, যা এই দীর্ঘ বিবর্তনেরই ফল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন