নৈরাজ্যবাদের জনক কে
নৈরাজ্যবাদের (Anarchism) জনক হলেন পিয়ের-জোসেফ প্রুধোঁ (Pierre-Joseph Proudhon)।
তিনি একজন ফরাসি দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ছিলেন। ১৮৪০ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ "সম্পত্তি কী?" (What Is Property?) প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, "সম্পত্তি কী?" এবং নিজেই এর উত্তর দেন, "সম্পত্তি হল চুরি" ("Property is theft")। এই উক্তিটির মাধ্যমেই তিনি রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানান, যা নৈরাজ্যবাদের মূল ভিত্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রুধোঁ মনে করতেন, কোনো ধরনের কেন্দ্রীয় শাসন বা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ছাড়াই মানুষ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলতে পারে। তাঁর এই দর্শনকে "মিউচুয়ালিজম" বা "পারস্পরিকতাবাদ" বলা হয়, যা নৈরাজ্যবাদের অন্যতম প্রধান একটি ধারা।
যদিও এর আগে উইলিয়াম গডউইনসহ আরও অনেক দার্শনিক নৈরাজ্যবাদী ধারণা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু প্রুধোঁ-ই প্রথম এই মতবাদকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে রূপ দেন এবং 'অ্যানার্কিজম' (Anarchism) শব্দটি ব্যবহার করেন। এ কারণে তাকে নৈরাজ্যবাদের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।
নৈরাজ্যবাদের (Anarchism) জনক হলেন পিয়ের-জোসেফ প্রুধোঁ (Pierre-Joseph Proudhon)।
তিনি একজন ফরাসি দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ছিলেন। ১৮৪০ সালে প্রকাশিত তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'হোয়াট ইজ প্রোপার্টি?' ('What is Property?')-এ তিনি প্রথম নিজেকে একজন নৈরাজ্যবাদী (anarchist) হিসেবে ঘোষণা করেন। এই গ্রন্থে তার বিখ্যাত উক্তিটি ছিল, "সম্পত্তি হল চুরি" ("Property is theft")।
প্রুধোঁ রাষ্ট্র এবং পুঁজিবাদের বিরোধিতা করেন এবং এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন যেখানে সরকার থাকবে না, তবে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তার এই দর্শনই পরবর্তীকালে নৈরাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন