জামার হাতের কাজের ডিজাইন
জামার হাতের কাজের ডিজাইনের ক্ষেত্রে মূলত ঐতিহ্যবাহী কৌশল এবং আধুনিক স্টাইল—দুইয়েরই ব্যবহার দেখা যায়। গলার অংশ, হাতা ও জামার নিচের দিকে (ঘের/ফাঁড়া) এই কাজগুলো বেশি করা হয়।
হাতের কাজের কিছু জনপ্রিয় ডিজাইন এবং সেগুলোর মূল কৌশল নিচে দেওয়া হলো:
১. সেলাইয়ের ধরনের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন
কোন ধরনের সেলাই ব্যবহার করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে কাজের ধরন ও লুক তৈরি হয়।
| সেলাইয়ের নাম (Stitch Type) | বৈশিষ্ট্য ও কোথায় ব্যবহার করা হয় |
| কাঁথা সেলাই (Kantha Stitch) | এটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেলাই। ছোট ছোট সরল রেখার মতো করে করা হয়। এটি সাধারণত পুরো জামায় (All-over) বা বর্ডার-এ ব্যবহার হয়। সরল জ্যামিতিক নকশা বা ছোট ছোট ফুল-পাতা তৈরি করা যায়। |
| ফুলকারি (Phulkari) | পাঞ্জাবের ঐতিহ্য হলেও বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। উজ্জ্বল সুতার ঘন সেলাই (সাধারণত ডার্নিং স্টিচ)। এটি গলার প্লাকেট বা বর্ডারে ঘন করে ব্যবহার হয়। |
| গুজরাটি/কাঁচ সেলাই (Gujarati/Mirror Work) | কাপড়ের উপর আয়না (ছোট কাঁচ) বসিয়ে চারপাশ দিয়ে সুতা দিয়ে ফ্রেম তৈরি করা হয়। ব্লাউজ, জামার হাতা বা গলার প্রান্তে বেশি ব্যবহার হয়। |
| চেইন সেলাই (Chain Stitch) | এটি শিকলের মতো দেখতে, যা দিয়ে সহজে মোটা রেখা বা লতানো ডিজাইন তৈরি করা যায়। বর্ডার বা আউটলাইনের জন্য এটি আদর্শ। |
| ফ্রেঞ্চ নট (French Knot) | সুতাকে পেঁচিয়ে ছোট ছোট দানার মতো করে তোলা হয়। এটি ফুলের কুঁড়ি বা মাঝের ফোঁটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। |
| সাটিন সেলাই (Satin Stitch) | নকশার ভেতরটা মসৃণভাবে ভরাট করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়, যেমন পাতা বা ফুলের পাপড়ি ভরাট করতে। |
২. জামার অংশে ব্যবহৃত ডিজাইন
ডিজাইনগুলো জামার কোন অংশে করা হচ্ছে, তার ওপর তাদের নাম হয়।
| অংশের নাম | জনপ্রিয় ডিজাইনের ধরন |
| গলা (Neckline) | * লতা ও পাতা: গলার চারপাশে লতানো ফুলের ডিজাইন বা ছোট ছোট বুটির কাজ। * চওড়া বর্ডার: ভি-নেক বা গোল গলার নিচে চওড়া স্ট্রাইপে ঘন কাজ। * প্লাকেট: সামনে বোতামের ফাড়ার দু’পাশে চিকন চেইন বা কাঁথা সেলাই। |
| হাতা (Sleeves) | * মুহুরীতে বর্ডার: হাতার মুখের দিকে ২-৪ ইঞ্চি চওড়া ঘন নকশা। * মাঝখানে বুটি: হাতার মাঝের অংশে ছোট ছোট ফুল বা পাতার বুটি ছড়িয়ে দেওয়া। * ফ্রিঞ্জ/ট্যাসেল: হাতার শেষে সুতার ঝালর (Tassel) তৈরি করা। |
| বডি ও ঘের (Body & Hem) | * বুটি কাজ (All-over Buti): জামার পুরো বডিতে ছোট ছোট ফোঁটা, ফুল বা তারা ছড়ানো নকশা। * নিচে বর্ডার: ঘের বা সাইড ফাড়ার নিচের প্রান্তে ঘন কাজ। * জমিন ভরাট: ঐতিহ্যবাহী নকশী কাঁথার মতো কোনো অংশকে পুরোপুরি ভরাট করা। |
৩. থিম বা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন
ফ্লোরাল ডিজাইন (Floral Design): গোলাপ, সূর্যমুখী, গাঁদা, রজনীগন্ধা বা বুনো ফুলের নকশা।
জ্যামিতিক ডিজাইন (Geometric Design): বিভিন্ন রেখা, ত্রিভুজ বা বর্গাকার নকশা, যা সাধারণত কাঁথা বা গুজরাটি কাজে বেশি দেখা যায়।
বার্ড/অ্যানিমেল মোটিফ: টিয়া পাখি, ময়ূর বা অন্যান্য পশু-পাখির মোটিফ যা গ্রাম বাংলার লোকশিল্পের অংশ।
হাতের কাজ করার আগে অবশ্যই কাপড়টি ফ্রেমে বা হোলাতে (Hoola) টানটান করে আটকে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে সেলাই করার সময় কাপড় কুঁচকে না যায়। সুতার রং যেন কাপড়ের রঙের সাথে মানানসই হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
জামার হাতের কাজের ডিজাইনের ক্ষেত্রে মূলত ঐতিহ্যবাহী কৌশল এবং আধুনিক স্টাইল—দুইয়েরই ব্যবহার দেখা যায়। গলার অংশ, হাতা ও জামার নিচের দিকে (ঘের/ফাঁড়া) এই কাজগুলো বেশি করা হয়।
হাতের কাজের কিছু জনপ্রিয় ডিজাইন এবং সেগুলোর মূল কৌশল নিচে দেওয়া হলো:
১. সেলাইয়ের ধরনের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন
কোন ধরনের সেলাই ব্যবহার করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে কাজের ধরন ও লুক তৈরি হয়।
| সেলাইয়ের নাম (Stitch Type) | বৈশিষ্ট্য ও কোথায় ব্যবহার করা হয় |
| কাঁথা সেলাই (Kantha Stitch) | এটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেলাই। ছোট ছোট সরল রেখার মতো করে করা হয়। এটি সাধারণত পুরো জামায় (All-over) বা বর্ডার-এ ব্যবহার হয়। সরল জ্যামিতিক নকশা বা ছোট ছোট ফুল-পাতা তৈরি করা যায়। |
| ফুলকারি (Phulkari) | পাঞ্জাবের ঐতিহ্য হলেও বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। উজ্জ্বল সুতার ঘন সেলাই (সাধারণত ডার্নিং স্টিচ)। এটি গলার প্লাকেট বা বর্ডারে ঘন করে ব্যবহার হয়। |
| গুজরাটি/কাঁচ সেলাই (Gujarati/Mirror Work) | কাপড়ের উপর আয়না (ছোট কাঁচ) বসিয়ে চারপাশ দিয়ে সুতা দিয়ে ফ্রেম তৈরি করা হয়। ব্লাউজ, জামার হাতা বা গলার প্রান্তে বেশি ব্যবহার হয়। |
| চেইন সেলাই (Chain Stitch) | এটি শিকলের মতো দেখতে, যা দিয়ে সহজে মোটা রেখা বা লতানো ডিজাইন তৈরি করা যায়। বর্ডার বা আউটলাইনের জন্য এটি আদর্শ। |
| ফ্রেঞ্চ নট (French Knot) | সুতাকে পেঁচিয়ে ছোট ছোট দানার মতো করে তোলা হয়। এটি ফুলের কুঁড়ি বা মাঝের ফোঁটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। |
| সাটিন সেলাই (Satin Stitch) | নকশার ভেতরটা মসৃণভাবে ভরাট করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়, যেমন পাতা বা ফুলের পাপড়ি ভরাট করতে। |
২. জামার অংশে ব্যবহৃত ডিজাইন
ডিজাইনগুলো জামার কোন অংশে করা হচ্ছে, তার ওপর তাদের নাম হয়।
| অংশের নাম | জনপ্রিয় ডিজাইনের ধরন |
| গলা (Neckline) | * লতা ও পাতা: গলার চারপাশে লতানো ফুলের ডিজাইন বা ছোট ছোট বুটির কাজ। * চওড়া বর্ডার: ভি-নেক বা গোল গলার নিচে চওড়া স্ট্রাইপে ঘন কাজ। * প্লাকেট: সামনে বোতামের ফাড়ার দু’পাশে চিকন চেইন বা কাঁথা সেলাই। |
| হাতা (Sleeves) | * মুহুরীতে বর্ডার: হাতার মুখের দিকে ২-৪ ইঞ্চি চওড়া ঘন নকশা। * মাঝখানে বুটি: হাতার মাঝের অংশে ছোট ছোট ফুল বা পাতার বুটি ছড়িয়ে দেওয়া। * ফ্রিঞ্জ/ট্যাসেল: হাতার শেষে সুতার ঝালর (Tassel) তৈরি করা। |
| বডি ও ঘের (Body & Hem) | * বুটি কাজ (All-over Buti): জামার পুরো বডিতে ছোট ছোট ফোঁটা, ফুল বা তারা ছড়ানো নকশা। * নিচে বর্ডার: ঘের বা সাইড ফাড়ার নিচের প্রান্তে ঘন কাজ। * জমিন ভরাট: ঐতিহ্যবাহী নকশী কাঁথার মতো কোনো অংশকে পুরোপুরি ভরাট করা। |
৩. থিম বা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন
ফ্লোরাল ডিজাইন (Floral Design): গোলাপ, সূর্যমুখী, গাঁদা, রজনীগন্ধা বা বুনো ফুলের নকশা।
জ্যামিতিক ডিজাইন (Geometric Design): বিভিন্ন রেখা, ত্রিভুজ বা বর্গাকার নকশা, যা সাধারণত কাঁথা বা গুজরাটি কাজে বেশি দেখা যায়।
বার্ড/অ্যানিমেল মোটিফ: টিয়া পাখি, ময়ূর বা অন্যান্য পশু-পাখির মোটিফ যা গ্রাম বাংলার লোকশিল্পের অংশ।
হাতের কাজ করার আগে অবশ্যই কাপড়টি ফ্রেমে বা হোলাতে (Hoola) টানটান করে আটকে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে সেলাই করার সময় কাপড় কুঁচকে না যায়। সুতার রং যেন কাপড়ের রঙের সাথে মানানসই হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন