স্বামী স্ত্রীর মজার ঝগড়া
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া যখন মজাদার হয়, তখন তা দিনের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। নিচে তেমনই একটি পরিস্থিতি নিয়ে লেখা একটি মজার ঝগড়ার গল্প দেওয়া হলো।
রিমোট-কন্ট্রোল এবং মশা-নিধন অভিযান
অফিস থেকে ফিরে সোফায় গা এলিয়ে দিয়েছে শফিক সাহেব। হাতে রিমোট, টিভিতে খেলা চলছে—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! ঠিক সেই সময়ে ঘরে প্রবেশ করলো তার স্ত্রী রিনা।
রিনা (চিৎকার করে): "কী ব্যাপার! আমি কি সারা দিনের জন্য বাড়ির চাকর? নাকি আপনার বিনোদনের সামগ্রী? মশারা তো রক্ত খেয়ে শেষ করলো, আর আপনি দিব্যি এখানে খেলা দেখছেন!"
শফিক (টিভি থেকে চোখ না সরিয়ে): "আহা রিনা! রাগ করছো কেন? মশাদের সাথে আমার কী সম্পর্ক? আর তুমি তো আমার লক্ষ্মী বউ—বিনোদনের সামগ্রী নয়, তুমি আমার হৃদয়ের রানি!"
রিনা (তেড়ে এসে রিমোট কেড়ে নিয়ে): "আর মিথ্যা স্তুতি করতে হবে না! মশারা তো শুধু আপনার রক্ত খায় না, আমারও খায়! মশারি টাঙানোর নাম নেই, মশাও মারবেন না! যত কাজ সব আমাকে দিয়ে করিয়ে নেবেন?"
শফিক (হতাশ হয়ে): "ইস! তুমি এখন রিমোটটা নিয়ে কী করবে? খেলাটা তো প্রায় শেষ—আর দু'টা উইকেট পড়লেই ম্যাচটা জিতে যাবো!"
রিনা (রিমোট চেপে টিভির চ্যানেলে একটি সিরিয়াল লাগিয়ে): "মশারা যখন আপনার রক্ত খাবে, তখন বুঝবেন! এখন আমার সিরিয়াল দেখার সময়। আর শুনুন—মশা মারার দায়িত্বটা আজ থেকে আপনার। হয় কয়েল জ্বালান, নয়তো নিজে মশা মারার স্প্রে নিয়ে অ্যাকশন শুরু করুন!"
শফিক (দীর্ঘশ্বাস ফেলে): "আরে বাবা! মশা মারতে এখন স্প্রে লাগবে নাকি? আমি তো এমনিতেই স্পাইডার-ম্যানের চেয়েও ফাস্ট। এক থাপ্পড়েই সব শেষ!"
রিনা (ঠোঁট উল্টিয়ে): "সে তো জানিই! আপনি ব্যাট হাতে যেমন ফাঁকা মাঠে বল মিস করেন, মশা মারতেও তেমনই ভুল করবেন। দরকার নেই আপনার মশা মারতে যাওয়া। তার চেয়ে বরং এই কাজটা করুন... (বিশাল একটা মশার কয়েল আর লাইটার এগিয়ে দিয়ে) এটা ধরান! আর মশারিটা নিজে টাঙান।
শফিক: "কী বলছো! মশারি টাঙানো? ওটা তো ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কাজ! চারকোণা জিনিসকে কীভাবে এক গোলাকার দড়ির সাথে বাঁধতে হয়, তা আমি জানি না!"
রিনা: "আপনার যত অজুহাত! আপনি জানেন না? তাহলে কাল থেকে আপনি বাইরে মশারি ছাড়াই ঘুমাবেন! আর আমি মশারি টাঙিয়ে একা আরামে ঘুমাবো।"
শফিক এবার উঠে এলো।
শফিক (নাটকীয় ভঙ্গিতে): "আমার বউটা আমার যত্ন নেয় না, মশা মারতে বলে! ঠিক আছে, মশা মারছি, কিন্তু একটা শর্ত! আমি যখন মশা মারব, তখন তুমি আমার জন্য গলা ছেড়ে একটা 'মশা-মারার জয়ধ্বনি' গান গাইবে! আর যদি একটাও মশা মরে, তবে তার বিনিময়ে তুমি আমাকে একটা চকলেট দেবে।"
রিনা ( হেসে): "আপনার এত বায়না! ঠিক আছে, এখন শুরু করুন! মশা-নিধন অভিযান! আর একটাও মশা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে কিন্তু কাল সকালে আপনার টিফিনে শুধু কাঁচকলা সেদ্ধ জুটবে!"
এই বলে রিনা হাসতে হাসতে রান্নাঘরে ফিরে গেলো। আর শফিক সাহেব মশার কয়েল হাতে নিয়ে, বিরস মুখে মশা-নিধন অভিযান শুরু করলো। তার মনে মনে তখন একটাই চিন্তা—কালকে টিফিনে কাঁচকলা সেদ্ধ খাওয়া যাবে না! তাই মশা মারতেই হবে!
এভাবেই তাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট ঝগড়াগুলো এক মজার খেলায় পরিণত হয়, যা তাদের সম্পর্কের টান আরও মজবুত করে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া যখন মজাদার হয়, তখন তা দিনের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। নিচে তেমনই একটি পরিস্থিতি নিয়ে লেখা একটি মজার ঝগড়ার গল্প দেওয়া হলো।
রিমোট-কন্ট্রোল এবং মশা-নিধন অভিযান
অফিস থেকে ফিরে সোফায় গা এলিয়ে দিয়েছে শফিক সাহেব। হাতে রিমোট, টিভিতে খেলা চলছে—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! ঠিক সেই সময়ে ঘরে প্রবেশ করলো তার স্ত্রী রিনা।
রিনা (চিৎকার করে): "কী ব্যাপার! আমি কি সারা দিনের জন্য বাড়ির চাকর? নাকি আপনার বিনোদনের সামগ্রী? মশারা তো রক্ত খেয়ে শেষ করলো, আর আপনি দিব্যি এখানে খেলা দেখছেন!"
শফিক (টিভি থেকে চোখ না সরিয়ে): "আহা রিনা! রাগ করছো কেন? মশাদের সাথে আমার কী সম্পর্ক? আর তুমি তো আমার লক্ষ্মী বউ—বিনোদনের সামগ্রী নয়, তুমি আমার হৃদয়ের রানি!"
রিনা (তেড়ে এসে রিমোট কেড়ে নিয়ে): "আর মিথ্যা স্তুতি করতে হবে না! মশারা তো শুধু আপনার রক্ত খায় না, আমারও খায়! মশারি টাঙানোর নাম নেই, মশাও মারবেন না! যত কাজ সব আমাকে দিয়ে করিয়ে নেবেন?"
শফিক (হতাশ হয়ে): "ইস! তুমি এখন রিমোটটা নিয়ে কী করবে? খেলাটা তো প্রায় শেষ—আর দু'টা উইকেট পড়লেই ম্যাচটা জিতে যাবো!"
রিনা (রিমোট চেপে টিভির চ্যানেলে একটি সিরিয়াল লাগিয়ে): "মশারা যখন আপনার রক্ত খাবে, তখন বুঝবেন! এখন আমার সিরিয়াল দেখার সময়। আর শুনুন—মশা মারার দায়িত্বটা আজ থেকে আপনার। হয় কয়েল জ্বালান, নয়তো নিজে মশা মারার স্প্রে নিয়ে অ্যাকশন শুরু করুন!"
শফিক (দীর্ঘশ্বাস ফেলে): "আরে বাবা! মশা মারতে এখন স্প্রে লাগবে নাকি? আমি তো এমনিতেই স্পাইডার-ম্যানের চেয়েও ফাস্ট। এক থাপ্পড়েই সব শেষ!"
রিনা (ঠোঁট উল্টিয়ে): "সে তো জানিই! আপনি ব্যাট হাতে যেমন ফাঁকা মাঠে বল মিস করেন, মশা মারতেও তেমনই ভুল করবেন। দরকার নেই আপনার মশা মারতে যাওয়া। তার চেয়ে বরং এই কাজটা করুন... (বিশাল একটা মশার কয়েল আর লাইটার এগিয়ে দিয়ে) এটা ধরান! আর মশারিটা নিজে টাঙান।
শফিক: "কী বলছো! মশারি টাঙানো? ওটা তো ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কাজ! চারকোণা জিনিসকে কীভাবে এক গোলাকার দড়ির সাথে বাঁধতে হয়, তা আমি জানি না!"
রিনা: "আপনার যত অজুহাত! আপনি জানেন না? তাহলে কাল থেকে আপনি বাইরে মশারি ছাড়াই ঘুমাবেন! আর আমি মশারি টাঙিয়ে একা আরামে ঘুমাবো।"
শফিক এবার উঠে এলো।
শফিক (নাটকীয় ভঙ্গিতে): "আমার বউটা আমার যত্ন নেয় না, মশা মারতে বলে! ঠিক আছে, মশা মারছি, কিন্তু একটা শর্ত! আমি যখন মশা মারব, তখন তুমি আমার জন্য গলা ছেড়ে একটা 'মশা-মারার জয়ধ্বনি' গান গাইবে! আর যদি একটাও মশা মরে, তবে তার বিনিময়ে তুমি আমাকে একটা চকলেট দেবে।"
রিনা ( হেসে): "আপনার এত বায়না! ঠিক আছে, এখন শুরু করুন! মশা-নিধন অভিযান! আর একটাও মশা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে কিন্তু কাল সকালে আপনার টিফিনে শুধু কাঁচকলা সেদ্ধ জুটবে!"
এই বলে রিনা হাসতে হাসতে রান্নাঘরে ফিরে গেলো। আর শফিক সাহেব মশার কয়েল হাতে নিয়ে, বিরস মুখে মশা-নিধন অভিযান শুরু করলো। তার মনে মনে তখন একটাই চিন্তা—কালকে টিফিনে কাঁচকলা সেদ্ধ খাওয়া যাবে না! তাই মশা মারতেই হবে!
এভাবেই তাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট ঝগড়াগুলো এক মজার খেলায় পরিণত হয়, যা তাদের সম্পর্কের টান আরও মজবুত করে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া যখন মজাদার হয়, তখন তা দিনের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। নিচে তেমনই একটি পরিস্থিতি নিয়ে লেখা একটি মজার ঝগড়ার গল্প দেওয়া হলো।
রিমোট-কন্ট্রোল এবং মশা-নিধন অভিযান
অফিস থেকে ফিরে সোফায় গা এলিয়ে দিয়েছে শফিক সাহেব। হাতে রিমোট, টিভিতে খেলা চলছে—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! ঠিক সেই সময়ে ঘরে প্রবেশ করলো তার স্ত্রী রিনা।
রিনা (চিৎকার করে): "কী ব্যাপার! আমি কি সারা দিনের জন্য বাড়ির চাকর? নাকি আপনার বিনোদনের সামগ্রী? মশারা তো রক্ত খেয়ে শেষ করলো, আর আপনি দিব্যি এখানে খেলা দেখছেন!"
শফিক (টিভি থেকে চোখ না সরিয়ে): "আহা রিনা! রাগ করছো কেন? মশাদের সাথে আমার কী সম্পর্ক? আর তুমি তো আমার লক্ষ্মী বউ—বিনোদনের সামগ্রী নয়, তুমি আমার হৃদয়ের রানি!"
রিনা (তেড়ে এসে রিমোট কেড়ে নিয়ে): "আর মিথ্যা স্তুতি করতে হবে না! মশারা তো শুধু আপনার রক্ত খায় না, আমারও খায়! মশারি টাঙানোর নাম নেই, মশাও মারবেন না! যত কাজ সব আমাকে দিয়ে করিয়ে নেবেন?"
শফিক (হতাশ হয়ে): "ইস! তুমি এখন রিমোটটা নিয়ে কী করবে? খেলাটা তো প্রায় শেষ—আর দু'টা উইকেট পড়লেই ম্যাচটা জিতে যাবো!"
রিনা (রিমোট চেপে টিভির চ্যানেলে একটি সিরিয়াল লাগিয়ে): "মশারা যখন আপনার রক্ত খাবে, তখন বুঝবেন! এখন আমার সিরিয়াল দেখার সময়। আর শুনুন—মশা মারার দায়িত্বটা আজ থেকে আপনার। হয় কয়েল জ্বালান, নয়তো নিজে মশা মারার স্প্রে নিয়ে অ্যাকশন শুরু করুন!"
শফিক (দীর্ঘশ্বাস ফেলে): "আরে বাবা! মশা মারতে এখন স্প্রে লাগবে নাকি? আমি তো এমনিতেই স্পাইডার-ম্যানের চেয়েও ফাস্ট। এক থাপ্পড়েই সব শেষ!"
রিনা (ঠোঁট উল্টিয়ে): "সে তো জানিই! আপনি ব্যাট হাতে যেমন ফাঁকা মাঠে বল মিস করেন, মশা মারতেও তেমনই ভুল করবেন। দরকার নেই আপনার মশা মারতে যাওয়া। তার চেয়ে বরং এই কাজটা করুন... (বিশাল একটা মশার কয়েল আর লাইটার এগিয়ে দিয়ে) এটা ধরান! আর মশারিটা নিজে টাঙান।
শফিক: "কী বলছো! মশারি টাঙানো? ওটা তো ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কাজ! চারকোণা জিনিসকে কীভাবে এক গোলাকার দড়ির সাথে বাঁধতে হয়, তা আমি জানি না!"
রিনা: "আপনার যত অজুহাত! আপনি জানেন না? তাহলে কাল থেকে আপনি বাইরে মশারি ছাড়াই ঘুমাবেন! আর আমি মশারি টাঙিয়ে একা আরামে ঘুমাবো।"
শফিক এবার উঠে এলো।
শফিক (নাটকীয় ভঙ্গিতে): "আমার বউটা আমার যত্ন নেয় না, মশা মারতে বলে! ঠিক আছে, মশা মারছি, কিন্তু একটা শর্ত! আমি যখন মশা মারব, তখন তুমি আমার জন্য গলা ছেড়ে একটা 'মশা-মারার জয়ধ্বনি' গান গাইবে! আর যদি একটাও মশা মরে, তবে তার বিনিময়ে তুমি আমাকে একটা চকলেট দেবে।"
রিনা ( হেসে): "আপনার এত বায়না! ঠিক আছে, এখন শুরু করুন! মশা-নিধন অভিযান! আর একটাও মশা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে কিন্তু কাল সকালে আপনার টিফিনে শুধু কাঁচকলা সেদ্ধ জুটবে!"
এই বলে রিনা হাসতে হাসতে রান্নাঘরে ফিরে গেলো। আর শফিক সাহেব মশার কয়েল হাতে নিয়ে, বিরস মুখে মশা-নিধন অভিযান শুরু করলো। তার মনে মনে তখন একটাই চিন্তা—কালকে টিফিনে কাঁচকলা সেদ্ধ খাওয়া যাবে না! তাই মশা মারতেই হবে!
এভাবেই তাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট ঝগড়াগুলো এক মজার খেলায় পরিণত হয়, যা তাদের সম্পর্কের টান আরও মজবুত করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন